পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম – সহজভাবে বুঝে নিন

বিকাশ একাউন্ট কেন প্রয়োজন?

বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে টাকা পাঠানো, রিচার্জ, বিল পরিশোধ বা অনলাইন কেনাকাটার জন্য বিকাশ একাউন্ট একটি কার্যকরী মাধ্যম। নগদ অর্থ বহনের ঝামেলা ছাড়াই স্মার্টভাবে আর্থিক লেনদেন করার সহজ উপায় হয়ে উঠেছে বিকাশ।

পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম – সহজভাবে বুঝে নিন

কারা একাউন্ট খুলতে পারবেন?

১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক, যার একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং নিজের নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর রয়েছে, সে সহজেই একটি পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারে।


কী কী লাগে একাউন্ট খোলার জন্য?


জাতীয় পরিচয়পত্র (সামনে ও পেছনের ছবি)


নিজের মোবাইল নাম্বার (একই নামের NID অনুযায়ী রেজিস্টার্ড)


এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (শুধুমাত্র অফলাইন আবেদনকারীদের জন্য)


বিকাশ অ্যাপ (অনলাইন আবেদনকারীদের জন্য)


একাউন্ট খোলার দুইটি পদ্ধতি

১. এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে – যেকোনো বিকাশ এজেন্ট দোকানে গিয়ে আপনার মোবাইল ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়েক মিনিটেই একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।

২. বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে – ঘরে বসেই নিজের মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে, প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে, মুখের ছবি তুলেই একাউন্ট খোলা যায়।


বিকাশ অ্যাপ দিয়ে একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ


Google Play Store বা Apple App Store থেকে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন


"Sign Up" বা "নতুন একাউন্ট" অপশন সিলেক্ট করুন


নিজের মোবাইল নম্বর, NID নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিন


NID-এর ছবি তুলুন এবং আপলোড করুন


নিজের একটি লাইভ সেলফি তুলুন


একটি নিরাপদ ৫ সংখ্যার PIN দিন


SMS এর মাধ্যমে একাউন্ট অ্যাক্টিভেশন নিশ্চিত করুন


খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলোতে


NID ও মোবাইল নম্বর অবশ্যই একই ব্যক্তির হতে হবে


সঠিক জন্ম তারিখ ও NID নম্বর ব্যবহার করুন


নিজের পিন কাউকে জানাবেন না – এটি আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা দেয়াল


একাউন্ট খোলার পর করণীয়

একবার একাউন্ট খুলে গেলে অ্যাপের ভেতরে বিভিন্ন অপশন ঘেঁটে বুঝে নিন কীভাবে টাকা পাঠাবেন, ব্যালেন্স দেখবেন, অথবা ইউটিলিটি বিল দেবেন। বিকাশের লিমিট ও চার্জ স্ট্রাকচারও দেখে নিন যেন পরে কোনো ঝামেলা না হয়।


উপসংহার

পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট খোলা এখন আর কোনো কঠিন কাজ নয়। ঘরে বসেই মাত্র ৫ মিনিটে নিজের একাউন্ট তৈরি করে ডিজিটাল লেনদেনে যুক্ত হওয়া সম্ভব। শুধু কিছু ছোট খাটো বিষয় খেয়াল রাখলে, আপনিও হয়ে উঠতে পারেন স্মার্ট অর্থ ব্যবস্থাপনায় একজন সচেতন ব্যবহারকারী।



Share this post with your friends and family

See previous post See next post