ঘরে বসেই বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন — জানুন সহজ উপায়ে
আপনি কি নিজের ছোট ব্যবসা চালাচ্ছেন বা বাড়তি আয়ের সুযোগ খুঁজছেন? তাহলে বিকাশ এজেন্ট হওয়া হতে পারে আপনার জন্য এক অসাধারণ সুযোগ। আগে যেখানে বিকাশ এজেন্ট হতে হলে অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হতো, এখন সেটা ঘরে বসেই অনলাইনে করা সম্ভব। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি স্মার্টফোন থাকলেই আপনি ঘরে বসেই বিকাশের অফিসিয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
বিকাশ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ বিকাশ ব্যবহার করে বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, ক্যাশ ইন/আউট সহ নানা সুবিধা নিতে। এই বিপুল চাহিদার কারণে বিকাশ নিয়মিত নতুন এজেন্ট খুঁজছে। ফলে, ঘরে বসেই বিকাশ এজেন্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করার এটাই হতে পারে আপনার সোনার সুযোগ।
এই গাইডে আমরা ধাপে ধাপে জানাবো কীভাবে ঘরে বসে বিকাশ এজেন্ট হওয়া যায়, কী লাগে, কী সুবিধা পাবেন, কোন ভুলগুলো করলে আবেদন বাতিল হতে পারে—সব কিছু।
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার পেছনের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা
বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (MFS) চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিকাশ এরই মধ্যে দেশের ৯০% এর বেশি মোবাইল লেনদেনের বাজার দখল করে ফেলেছে। প্রত্যন্ত গ্রাম হোক বা ব্যস্ত শহর, সর্বত্রই মানুষ এখন বিকাশ ব্যবহার করে।
এই বিপুল গ্রাহক সংখ্যার সেবা দিতে প্রচুর এজেন্টের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ২ লাখের বেশি বিকাশ এজেন্ট রয়েছে, কিন্তু চাহিদা আরও অনেক বেশি। নতুন নতুন এলাকা, বিশেষ করে গ্রাম বা হাটবাজারে যেখানে এখনো বিকাশ এজেন্ট কম, সেখানে আপনি এজেন্ট হিসেবে খুব সহজেই লাভবান হতে পারেন।
অন্যদিকে, শহরের বাসিন্দারাও যদি নিজের দোকান বা ছোট ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্ট হন, তাহলে তারা মাসে বাড়তি কিছু হাজার টাকা আয় করতে পারেন। শুধু লেনদেন করেই নয়, নতুন গ্রাহক রেজিস্ট্রেশন, বিল পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ—এসবের মাধ্যমে আপনি ইনসেনটিভ পেতে পারেন।
তাই বলা যায়, বিকাশ এজেন্ট হওয়া শুধু একটি পেশা নয়—এটি একটি লাভজনক ব্যবসায়িক সুযোগ।
বিকাশ এজেন্ট হতে চাইলে যেসব যোগ্যতা লাগবে
অনেকেই ভাবেন বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য হয়তো উচ্চ ডিগ্রি বা অনেক টাকা-পয়সার প্রয়োজন হয়। আসলে বিষয়টা অনেক সহজ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত। নিচে আমরা দেখবো কী কী যোগ্যতা ও প্রস্তুতি দরকার:
১. ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা
প্রাথমিক শিক্ষা থাকলেই বিকাশ এজেন্ট হওয়া সম্ভব। আপনি যদি নাম লিখতে, পড়তে ও হিসাব রাখতে পারেন, তাহলেই যথেষ্ট। তবে একটু স্মার্টফোন ব্যবহার জানা থাকলে উপকার পাবেন।
২. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
আপনার NID কার্ড থাকা আবশ্যক। রেজিস্ট্রেশনের সময় এটি স্ক্যান করে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে নাম, জন্মতারিখ ও NID নম্বর অবশ্যই ঠিক থাকতে হবে।
৩. একটি বিকাশ নম্বর
আপনার ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, যেটি আপনার NID-এর সাথে ভেরিফায়েড। একই নম্বর আপনি এজেন্ট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
৪. একটি ব্যবসার ঠিকানা বা দোকান
যদিও ঘরে বসেই আবেদন করা যায়, কিন্তু এজেন্ট হিসেবে একটি স্থায়ী লোকেশন প্রয়োজন, যেখান থেকে আপনি গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবেন। এটি হতে পারে একটি দোকান, স্টল বা নির্ধারিত জায়গা।
৫. ছবি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ট্রেড লাইসেন্স (যদি থাকে), দোকানের ছবি—এই সব কাগজপত্র স্ক্যান করে আবেদন করতে হয়।
৬. একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (বাধ্যতামূলক নয়)
অতিরিক্ত সুবিধা নিতে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে ভালো হয়। তবে বাধ্যতামূলক নয়।
এই কয়েকটি যোগ্যতা ও কাগজপত্র থাকলেই আপনি অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন, তাও একদম ঘরে বসে!
বিকাশ এজেন্ট হিসেবে আপনি কী ধরনের সুবিধা পাবেন?
যখন আপনি একজন বিকাশ এজেন্ট হবেন, তখন শুধু একটা লেনদেনের মেশিন নয়—আপনি একটি লাভজনক ব্যবসার অংশ হবেন। চলুন জেনে নেই বিকাশ এজেন্ট হিসেবে কী কী সুবিধা আপনি উপভোগ করতে পারবেন:
১. প্রতিটি লেনদেনে কমিশন
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি প্রতিটি লেনদেনে কমিশন পাবেন। মানে, কেউ যদি আপনার মাধ্যমে টাকা ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করে, তার একটি নির্দিষ্ট শতাংশ আপনি আয় করবেন। বেশি লেনদেন মানেই বেশি ইনকাম।
২. ইনসেনটিভ এবং বোনাস
বিকাশ প্রতি মাসে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে এজেন্টদের ইনসেনটিভ দিয়ে থাকে। যেমন, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি লেনদেন করলে আপনি অতিরিক্ত বোনাস পেতে পারেন।
৩. ব্র্যান্ড সাপোর্ট
বিকাশ আপনাকে ব্যানার, স্টিকার, টি-শার্ট, পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি সরবরাহ করে। ফলে আপনি নিজের দোকান বা স্টলে পেশাদার লুক দিতে পারবেন।
৪. POS মেশিন ও অ্যাপ সাপোর্ট
নতুন এজেন্টদের অনেক সময় POS মেশিনও দেওয়া হয়। সাথে থাকবে একটি বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ, যেখানে আপনি সব ট্রানজেকশন রেকর্ড রাখতে পারবেন।
৫. দৈনিক বা মাসিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উৎসাহ
বিকাশ আপনার প্রতিদিন ও মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। সেটা পূরণ করলে আপনি আরও সুবিধা ও পুরস্কার পাবেন। এভাবেই আপনি ছোট থেকে বড় ব্যবসায় পরিণত হতে পারেন।
সুতরাং, যদি আপনি গ্রাহকসেবায় মনোযোগী হন ও নিয়মিত কাজ করেন, তবে বিকাশ এজেন্ট হিসেবে আপনার ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার ধাপগুলো (Step by Step গাইড)
চলুন এবার দেখে নেই কীভাবে আপনি ঘরে বসে বিকাশ এজেন্ট হতে পারেন, ধাপে ধাপে:
ধাপ ১: বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান
প্রথমে ব্রাউজারে গিয়ে www.bkash.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর "Become an Agent" অপশনটি খুঁজে ক্লিক করুন।
ধাপ ২: আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
ওয়েবসাইটে একটি ডিজিটাল ফর্ম পাবেন। এখানে আপনাকে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, দোকানের নাম, ব্যবসার ধরণ ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।
ধাপ ৩: NID ও অন্যান্য কাগজ স্ক্যান করে আপলোড করুন
NID কার্ডের সামনের ও পেছনের অংশ, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং দোকানের ছবি স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে।
ধাপ ৪: মোবাইলে OTP আসবে
তথ্য জমা দেওয়ার পর আপনার ফোনে একটি OTP আসবে, যেটি দিয়ে যাচাইকরণ সম্পন্ন করবেন।
ধাপ ৫: আবেদন জমা দিন ও অপেক্ষা করুন
সব কিছু ঠিকঠাক পূরণ করে “Su
ঘরে বসে আবেদন করার জন্য দরকারি প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি
অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট হতে গেলে শুধু কাগজপত্র থাকলেই হয় না, কিছু প্রযুক্তিগত প্রস্তুতিও দরকার। কারণ পুরো রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া একটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়। তাই আপনার কাছে নিম্নোক্ত কিছু প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ও জ্ঞান থাকলে প্রক্রিয়াটি আরো সহজ হয়ে যাবে।
১. একটি ভালো স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ
আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার হতে হবে আধুনিক ও দ্রুতগতির। পুরোনো ফোনেও কাজ হবে, তবে ব্রাউজার সাপোর্টেড ও ক্যামেরা ভালো হলে কাগজ স্ক্যান করে আপলোড করতে সুবিধা হয়।
২. স্থায়ী ইন্টারনেট সংযোগ
রেজিস্ট্রেশন করার সময় কোনোভাবেই ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট হওয়া উচিত না। তাই চেষ্টা করুন Wi-Fi বা ভালো মোবাইল ডাটা কানেকশন ব্যবহার করতে।
৩. ডকুমেন্ট স্ক্যানার অ্যাপ
আপনার NID, ছবি, দোকানের কাগজ ইত্যাদি স্ক্যান করে PDF বা JPEG ফাইল বানাতে হবে। এজন্য ক্যামস্ক্যানার, অ্যাডোব স্ক্যান, মাইস্ক্যান ইত্যাদি অ্যাপ খুব কাজের।
৪. ইমেইল অ্যাকাউন্ট ও OTP যাচাইকরণ
রেজিস্ট্রেশনের সময় একটি সক্রিয় ইমেইল অ্যাকাউন্ট লাগবে। এছাড়াও আপনার বিকাশ নম্বরে আসা OTP কোড দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে, তাই ফোনটি চালু ও সচল থাকতে হবে।
যারা প্রথমবার এধরনের অনলাইন ফর্ম পূরণ করছেন, তারা চাইলে কাছের কারো সহায়তা নিতে পারেন। টেকনোলজি জানা থাকলে এটি একেবারে ৩০ মিনিটের মধ্যে হয়ে যাবে।
বিকাশ এজেন্টের কাজের ধরন ও দায়িত্ব
এজেন্ট হওয়া মানে শুধু একটি সাইনবোর্ড টাঙানো নয়। একজন বিকাশ এজেন্ট হিসেবে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকবে, যা ঠিকভাবে পালন করলে আপনার আয় যেমন বাড়বে, তেমনি গ্রাহকদেরও সন্তুষ্টি মিলবে।
প্রধান দায়িত্বসমূহ:
ক্যাশ ইন/আউট লেনদেন: গ্রাহক যদি টাকা পাঠাতে বা তুলতে আসে, আপনি সেই সার্ভিস সরবরাহ করবেন।
নতুন একাউন্ট খোলা: কেউ যদি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়, তাহলে আপনি তার NID দেখে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
গ্রাহককে সেবা দেয়া ও তথ্য বুঝিয়ে বলা: অনেকেই বিকাশ ব্যবহারে দ্বিধায় থাকেন, তাদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়া এজেন্টদের একটি বড় দায়িত্ব।
POS মেশিন ব্যবস্থাপনা: মেশিন বা অ্যাপ দিয়ে প্রতিটি লেনদেন রেকর্ড রাখতে হবে।
চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার:
কখনো কখনো নেটওয়ার্ক সমস্যা, মেশিন কাজ না করা বা ভুয়া গ্রাহক আসার মতো ঝামেলাও হতে পারে। এজন্য বিকাশ এজেন্টদের ধৈর্য ধরে কাজ করতে হয়। প্রয়োজনে হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ কল করা যায়।
একজন ভালো বিকাশ এজেন্ট হলেন একজন দায়িত্বশীল, সতর্ক ও গ্রাহকবান্ধব মানুষ। তাই এই দায়িত্বগুলো আপনি যত ভালোভাবে পালন করবেন, ততই আপনার দোকানে ভিড় বাড়বে।
কী কী ভুলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে?
অনলাইনে আবেদন করার সময় অনেকেই ছোট ছোট ভুল করে ফেলেন, যার কারণে বিকাশ রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। নিচে এই ভুলগুলো এবং কীভাবে তা এড়ানো যায় তা আলোচনা করছি:
ভুল বা অস্পষ্ট NID কার্ড আপলোড: NID স্ক্যান করার সময় তা যেন পরিষ্কার ও পুরোপুরি দৃশ্যমান থাকে।
মোবাইল নম্বরের সাথে NID মেলে না: আপনার বিকাশ নম্বর যেন অবশ্যই আপনার NID-এর সাথে সংযুক্ত থাকে।
ভুল ইমেইল বা নম্বর দেওয়া: ভুল ইমেইল বা নম্বর দিলে OTP যাচাই হয় না, ফলে আবেদন বাতিল হয়।
ব্যবসার ঠিকানা ভুল বা অসম্পূর্ণ: আপনার দোকানের সঠিক অবস্থান দিন যাতে বিকাশ প্রতিনিধি সহজে খুঁজে পায়।
এই সাধারণ ভুলগুলো এড়াতে আবেদন করার আগে সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করুন।
বিকাশ থেকে যোগাযোগ ও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া কেমন হয়?
আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর বিকাশ টিম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এটি সাধারণত ৩ থেকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে হয়ে থাকে।
ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া:
ফোন কল: বিকাশের একজন প্রতিনিধি আপনার দেওয়া নম্বরে কল করে তথ্য যাচাই করে নেবে।
লোকেশন চেক: কখনো কখনো তারা সরাসরি আপনার দোকানে এসে দেখে যেতে পারে।
চূড়ান্ত অনুমোদন: সব কিছু ঠিক থাকলে বিকাশ আপনাকে অফিসিয়ালি এজেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেবে।
ভেরিফিকেশনের সময় আপনি যদি সঠিক তথ্য দিয়ে থাকেন এবং গ্রাহকসেবায় আগ্রহ দেখান, তাহলে প্রক্রিয়াটি খুব সহজ ও দ্রুত হয়।
রেজিস্ট্রেশনের পর কীভাবে এজেন্ট কিট ও POS মেশিন পাবেন?
বিকাশ এজেন্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের পর আপনি কিছু সরঞ্জাম পাবেন, যা দিয়ে আপনি পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।
আপনি যা পাবেন:
POS মেশিন (বিকল্প হিসেবে এজেন্ট অ্যাপ): লেনদেন দ্রুত ও নিরাপদ করতে সাহায্য করে।
ব্র্যান্ডিং সামগ্রী: ব্যানার, পোস্টার, স্টিকার ইত্যাদি দিয়ে আপনার দোকানকে বিকাশ-সনাক্তযোগ্য করা হয়।
বিকাশ থেকে প্রশিক্ষণ বা ভিডিও গাইডলাইন: যাতে আপনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন।
বিকাশ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলো ৭-১৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করে থাকে। তবে কখনো ডিমান্ড বেশি হলে একটু সময় লাগতে পারে।
উপসংহার
বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থায় বিকাশ একটি বিশাল নাম। আপনি যদি একটু স্মার্ট হন, প্রযুক্তিতে আগ্রহী হন, এবং নিজের একটি স্বাধীন আয়ের পথ খুঁজছেন—তাহলে বিকাশ এজেন্ট হওয়া আপনার জন্য হতে পারে সেরা সিদ্ধান্ত।
ঘরে বসেই এই সুযোগ গ্রহণ করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। কোন বড় পুঁজি ছাড়াই আপনি একটি স্থায়ী আয় তৈরি করতে পারেন, যা আপনাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করবে। এই আর্টিকেলে বলা প্রতিটি ধাপ যদি আপনি ভালোভাবে অনুসরণ করেন, তবে আপনার বিকাশ এজেন্ট হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আজই প্রস্তুতি নিন। প্রযুক্তির হাত ধরেই শুরু হোক আপনার নতুন জীবনের অধ্যায়।