কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের ১০টি কার্যকর উপায়

শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুন

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো শক্তিশালী একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা। ভাইরাস যেমন চোখে দেখা যায় না, তেমনি তা কখন কোথা থেকে আসছে, তাও আপনি বুঝতে পারবেন না। আর সেই অদৃশ্য শত্রুকে ঠেকাতে দরকার এমন একটা অস্ত্র, যেটা সবসময় নজরদারি করতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের ১০টি কার্যকর উপায়

আপনি হয়তো ভাবছেন – “আমি তো খুব সতর্ক, আমার কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকবে না।” কিন্তু সমস্যা হলো, ভাইরাস ঢোকার জন্য আপনাকে সতর্ক না থাকলেও চলে। আপনি যতই সচেতন হন না কেন, একটা মাত্র ভুল ক্লিকেই পুরো সিস্টেম ইনফেক্টেড হয়ে যেতে পারে। এজন্যই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দরকার।

একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস শুধু ভাইরাস শনাক্ত করে না, বরং তা রিয়েল-টাইমে স্ক্যান করে, সন্দেহজনক ফাইল বা প্রোগ্রাম ব্লক করে এবং সিস্টেমের দুর্বলতা চিহ্নিত করে।

বেছে নেওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখুনঃ

রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন ফিচার আছে কি না

স্বয়ংক্রিয় আপডেট সাপোর্ট করে কি না

ওয়েব ও ইমেইল সিকিউরিটি আছে কি না

সিস্টেমে বেশি চাপ ফেলে কি না

Norton, Bitdefender, Avast, Kaspersky—সবগুলোই বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকর। তবে ফ্রি ভার্সন ব্যবহারের চেয়ে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

নিয়মিত সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেট করুন

আপনার কম্পিউটার কতটা নিরাপদ, তা নির্ভর করে আপনার সফটওয়্যার কতটা আপডেটেড তার উপর। অনেকেই মনে করেন, সিস্টেম আপডেট মানে নতুন ডিজাইন বা ফিচার যুক্ত হওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ আপডেটেই থাকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্যাচ, যা আপনার ডিভাইসকে ভাইরাস এবং হ্যাকিংয়ের বিপদ থেকে রক্ষা করে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন এবং কয়েক মাস ধরে সেটি আপডেট না করে থাকেন, তাহলে আপনার সিস্টেমে এমন কিছু নিরাপত্তা গ্যাপ থেকে যাবে, যা হ্যাকাররা সহজেই ব্যবহার করতে পারে।

শুধু অপারেটিং সিস্টেম নয় — ব্রাউজার, মিডিয়া প্লেয়ার, ফাইল ওপেন করার সফটওয়্যার, এমনকি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারও নিয়মিত আপডেট করা দরকার। কারণ এসব সফটওয়্যারে পুরোনো সংস্করণে এমন ফাঁকফোকর থাকতে পারে, যা হ্যাকারদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দেয়।

কীভাবে নিয়মিত আপডেট রাখবেন?

অটো আপডেট অপশন চালু রাখুন

আপডেট নোটিফিকেশন এলে বিলম্ব না করে সেটি ইনস্টল করুন

সফটওয়্যার ব্যবহারের আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপডেট আছে কি না চেক করুন

আপডেটের মাধ্যমে আপনি একদম সর্বশেষ সুরক্ষা স্তরে চলে আসেন, যেটা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থানকে অনেক মজবুত করে তোলে।

 সন্দেহজনক লিংক বা ফাইল থেকে দূরে থাকুন

ভাইরাস আপনার সিস্টেমে ঢোকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আপনার অসতর্ক ক্লিক। আপনি যদি ইমেইল বা মেসেজে পাঠানো কোনো লিংকে ক্লিক করেন যেটা সন্দেহজনক, তবে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার অতি সহজেই ইনস্টল হয়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্দেহজনক লিংক আসতে পারে যেমনঃ

ফেইসবুক মেসেজে কোনো অপরিচিত লিংক

ইমেইলে “You’ve won a prize” টাইপের বার্তা

ওয়েবসাইটে “Click to claim your reward” টাইপের বিজ্ঞাপন

এছাড়াও, .exe, .zip বা .scr এক্সটেনশনের ফাইলগুলো সবচেয়ে বিপজ্জনক। এগুলো ভাইরাস বহনে সক্ষম এবং একবার ক্লিক করলেই তা সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কীভাবে নিরাপদ থাকবেন?

অপরিচিত প্রেরকের ইমেইল বা লিংকে ক্লিক করবেন না

ফাইল ডাউনলোড করার আগে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন

শর্ট লিংক (bit.ly) থাকলে প্রথমে তার পূর্ণ URL চেক করুন

স্মার্ট ব্যবহারকারী হোন — ক্লিক করার আগে চিন্তা করুন। অনেক সময় একটি ক্লিকই আপনাকে হাজার হাজার টাকার ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে পারে।

ফায়ারওয়াল চালু রাখুন

ফায়ারওয়াল এক ধরনের নিরাপত্তা প্রাচীর। এটি মূলত ইন্টারনেট থেকে আপনার কম্পিউটারে আসা-যাওয়া ডেটার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কোনো সন্দেহজনক অ্যাক্সেস বা অজানা ট্রাফিক শনাক্ত করে, তাহলে সেটা সঙ্গে সঙ্গেই ব্লক করে দেয়।

আমরা অনেকেই জানি না যে, Windows এবং macOS-এ বিল্ট-ইন ফায়ারওয়াল আছে। কিন্তু সেটি যদি ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকে, তাহলে আপনি যেমন খোলা দরজায় ঘুমাচ্ছেন তেমনি অবস্থা।

ফায়ারওয়াল চালু রাখার কিছু সুবিধা:

  • হ্যাকারদের ইনফিল্ট্রেশন প্রতিরোধ

  • সন্দেহজনক সফটওয়্যারকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থেকে বিরত রাখা

  • ইনকামিং ও আউটগোয়িং ট্রাফিক কনট্রোল

আপনি চাইলে থার্ড-পার্টি ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার যেমন ZoneAlarm, Comodo Firewall ব্যবহার করতে পারেন, যেগুলো আরও ডিটেইল কন্ট্রোল ও রিপোর্টিং সুবিধা দেয়।

একটা বিষয় মনে রাখবেন, ফায়ারওয়াল না থাকলে আপনি ইন্টারনেটের সাথে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত অবস্থায় থাকেন, এবং যে কেউ তখন আপনার সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে।

রিমুভেবল ডিভাইস ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করুন

পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড বা এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ — এইসব ডিভাইস খুবই সহজলভ্য এবং ব্যবহারযোগ্য। কিন্তু ঠিক এই কারণেই এগুলো ভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে কমন বাহক।

যে ফ্ল্যাশ ড্রাইভ আপনি বন্ধুর কাছ থেকে নিয়েছেন, তাতে যদি ভাইরাস থাকে, তাহলে সেটা আপনি বুঝতেই পারবেন না। আপনি যখন সেটি নিজের কম্পিউটারে প্রবেশ করাবেন, তখনই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে।

সতর্কতা অবলম্বনের উপায়:

অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে অটো-স্ক্যান চালু রাখুন

অটো-প্লে বা অটো-রান অপশন বন্ধ রাখুন

শুধু পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য ডিভাইস ব্যবহার করুন

এছাড়া যদি আপনি অফিসে কাজ করেন, যেখানে বহু ডিভাইস কম্পিউটারে সংযুক্ত করা হয়, তাহলে আলাদা USB স্ক্যানার বা Sandboxing সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন, যা ঝুঁকি হ্রাস করে।

রিমুভেবল ডিভাইস ব্যবহারে সামান্য অসাবধানতা অনেক বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই সাবধান থাকুন, অপ্রয়োজনীয় বা অপরিচিত ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।


মজবুত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন ও নিয়মিত পরিবর্তন করুন

অনলাইনে আপনি যত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেন না কেন, যদি আপনার পাসওয়ার্ড দুর্বল হয়, তবে সেগুলোর সবই পানির মতো ভেসে যাবে। অধিকাংশ মানুষই এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন যা সহজে অনুমানযোগ্য — যেমন 123456, password, কিংবা নিজের জন্মতারিখ। এটা একেবারেই নিরাপদ নয়।

একটা ভালো পাসওয়ার্ড হওয়া উচিত কমপক্ষে ১২ অক্ষরের এবং এতে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন (যেমন !, @, #, $) থাকা উচিত। যেমন ধরুন: N!l0y@2024safe — এটি একটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড।

পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনায় যেসব বিষয় মনে রাখা দরকারঃ

প্রতিটি সাইটের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

তিন থেকে ছয় মাস পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন

পাসওয়ার্ড লেখে রাখার বদলে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন (যেমন: LastPass, Bitwarden)

অধিকাংশ ভাইরাস বা হ্যাকিং অ্যাটাক হয় পাসওয়ার্ড অনুমান বা চুরি করার মাধ্যমে। যদি আপনি একটি দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে হ্যাকারদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তার একটি মূল স্তম্ভ হলো শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং তা নিয়মিত পরিবর্তন করা।

অনিরাপদ ওয়েবসাইট ভিজিট না করা

ইন্টারনেটের জগৎ অনেকটা জঙ্গলের মতো — সুন্দরও আছে, আবার ভয়ংকরও। আপনি যদি না বুঝে ভুল জায়গায় পা দেন, তাহলে ভাইরাস, ফিশিং, ম্যালওয়্যার—সবই আপনার পিছু নিতে পারে। আর এই ভুল জায়গাগুলোর অন্যতম হলো অনিরাপদ ওয়েবসাইট।

HTTPS ছাড়া ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন পাসওয়ার্ড, কার্ড নম্বর) দেওয়া মানে হলো, খোলা চিঠির মতো নিজের তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া। অনিরাপদ ওয়েবসাইটগুলোতে ক্লিক করলেই অনেক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস ইনস্টল হয়ে যায়, আপনি বুঝতেই পারবেন না।

কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের ১০টি কার্যকর উপায়

কীভাবে নিরাপদ ও অনিরাপদ ওয়েবসাইট আলাদা করবেন:

URL-এ https:// আছে কি না দেখুন

ব্রাউজারে লক আইকন আছে কি না

পপআপে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বা ভয় দেখানো মেসেজ দেখলে সাবধান হোন

আরেকটি বিষয় হচ্ছে ফিশিং ওয়েবসাইট — দেখতে অনেকটা আসল ব্যাংক বা ই-কমার্স সাইটের মতোই, কিন্তু মূলত ভুয়া। এসব সাইটে আপনার তথ্য দিলে তা সোজা চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে।

অনিরাপদ ও সন্দেহজনক সাইট থেকে দূরে থাকুন, এতে করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং ডিভাইস দুই-ই থাকবে সুরক্ষিত।

ব্যাকআপ ব্যবস্থা রাখুন

ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাকআপ রাখা সরাসরি না হলেও একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। কারণ যদি কোনো কারণে আপনার কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং ডেটা নষ্ট হয়ে যায়, তখন ব্যাকআপ থাকলেই আপনি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস এখন অনেক বেশি আলোচিত। এটা আপনার সব ফাইল লক করে দেয় এবং আনলক করার জন্য টাকা দাবি করে। যদি আপনার কাছে সবকিছুর ব্যাকআপ থাকে, তাহলে আপনাকে কোনো হ্যাকারকে টাকা দেওয়ার দরকার হবে না।

কীভাবে ব্যাকআপ রাখবেন?

Google Drive, OneDrive, Dropbox-এর মতো ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন

এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যাকআপ নিন

সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট তৈরি করে রাখুন

এটি আপনার ডিজিটাল লাইফের ইন্স্যুরেন্সের মতো। একবার ভাইরাস আক্রমণ হলেও, আপনি নিজের ফাইল ফিরে পেতে পারবেন। তাই সময় থাকতেই ব্যাকআপ রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বা এক্সটেনশন অপসারণ করুন

আমরা অনেক সময় না ভেবেই নানা সফটওয়্যার বা ব্রাউজার এক্সটেনশন ইনস্টল করে ফেলি। এসব প্রোগ্রামের অনেকগুলোই ব্যবহারে না আসলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং ভাইরাস ছড়ানোর সুযোগ তৈরি করে।

বিশেষ করে ফ্রি সফটওয়্যারের মধ্যে অনেক সময় অ্যাডওয়্যার বা স্পাইওয়্যার লুকানো থাকে। আপনি ভাবছেন সফটওয়্যার কাজ করছে, অথচ সেটাই আপনার তথ্য অন্য কোথাও পাঠাচ্ছে।

সতর্কতা রক্ষার উপায়:

Control Panel বা Settings থেকে নিয়মিত সফটওয়্যার লিস্ট চেক করুন

অজানা ও অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল করুন

ব্রাউজারে অপ্রয়োজনীয় এক্সটেনশন রিমুভ করুন

এছাড়াও “PC Cleaner” বা “Registry Booster” নামের অজানা সফটওয়্যার থেকে দূরে থাকুন। এগুলো অনেক সময় ভাইরাসবাহী হয়ে থাকে।

কম্পিউটারে যত কম সফটওয়্যার, ভাইরাস ঢোকার পথ তত কম। তাই আপনার ব্যবহারে না আসা অ্যাপ বা এক্সটেনশন আজই মুছে ফেলুন।

সাইবার সচেতনতা তৈরি করুন

সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হলো – জ্ঞান। আপনি যদি জানেন না কীভাবে ভাইরাস ছড়ায়, কোন ক্লিক বিপদ ডেকে আনে বা কোন লিংকে যাওয়া উচিত নয়, তবে অন্য সব ব্যবস্থাই ব্যর্থ হতে পারে।

আজকাল শুধু আপনিই না — আপনার পরিবারের সদস্য, এমনকি ছোট ছেলেমেয়েরাও কম্পিউটার ব্যবহার করে। তাই সবাইকে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে জানানো খুবই জরুরি।

সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল:

ইন্টারনেটে কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে ভাবুন

ক্লাস, ওয়েবিনার বা অনলাইন কোর্স করে নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান নিন

অফিসে বা বাসায় সবাইকে বেসিক গাইডলাইন দিন

বাচ্চারা অনেক সময় গেম বা ভিডিও দেখতে গিয়ে ভুল লিংকে ক্লিক করে ফেলে। তাদের শেখান কোনটা নিরাপদ, কোনটা নয়।

সাইবার জ্ঞান যত বাড়বে, ভাইরাসের ঝুঁকি তত কমবে। তাই ভাইরাস ঠেকাতে হলে, আগে নিজের জ্ঞান বাড়ান।

উপসংহার

কম্পিউটার ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার, নিয়মিত আপডেট, নিরাপদ ব্রাউজিং, শক্ত পাসওয়ার্ড এবং ব্যাকআপ—সবকিছু মিলেই গড়ে তোলে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ। প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি আছে ঝুঁকিও, তাই দেরি না করে এখনই সতর্ক হোন। আজকের ছোট্ট একটি সচেতনতাই আগামীতে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। নিজের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও সহকর্মীদেরও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করুন। সাইবার অপরাধ দিন দিন বাড়ছে, তাই প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। নিরাপদ থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন।




Share this post with your friends and family

See next post